রুপচর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা। অনেকে মনে করেন, আরে ত্বকতো প্রতিদিনই ফেইস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়,আবার...
রুপচর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা। অনেকে মনে করেন, আরে ত্বকতো প্রতিদিনই ফেইস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়,আবার নতুন করে কি পরিষ্কার করবো? কিন্তু আপনি জানেন কি, ত্বক পরিষ্কারের উপর ত্বকের সুস্থতা নির্ভর করে? ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করাতেও রয়েছে পার্থক্য। তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক, নরমাল ত্বক কিংবা সেনসিটিভ ত্বক- একেক ত্বক পরিষ্কার করার উপায় একেক রকম। এমনকি ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পার্থক্য রয়েছে ফেইস ওয়াশেরও। তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিয়ে কম বেশি সবাই সচেতন। কিন্তু নরমাল স্কিন নিয়ে অনেকে সচেতন নয়। অথচ নরমাল ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি সহজ। এই সহজ কাজটি আরো সহজ করে দেবে আজকের আর্টিকেলটি।
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি সাধারণ ত্বকের ক্লিনজার:
ত্বক পরিষ্কার করতে সাধারণত সবাই ক্লিনজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ক্লিনজার ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে না, আবার কিছু কিছু ক্লিনজার ত্বক শুষ্ক করে তোলে। বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাজারের ক্লিনজারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ক্লিনজার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। তাই আজ প্রাকৃতিক কিছু সাধারণ ত্বকের ক্লিনজার সম্পর্কে জেনে নিন।
১.টকদই:
টকদই নরমাল ত্বকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়। কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ত্বক পরিষ্কার করবে তা কিন্তু নয়, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে টকদই বেশ কার্যকরী।
২.টকদই এবং মধু:
নরমাল ত্বকের জন্য টকদই এবং মধু একটি আর্দশ ফেইস প্যাক। দুই চা চামচ টকদই এবং এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। প্যাকটি ২-৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
৩.ডিম এবং মধু :
ফ্রেশ এবং সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন প্রোট্রিন এবং ভিটামিন। আর প্রোট্রিনের পারফেক্ট উৎস হলো ডিম। মধু আর ডিমের এই প্যাকটি আপনার ত্বককে করে তুলবে আরো বেশি মসৃণ এবং সতেজ। একটি পাত্রে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চা চামচ মধু নিন। এই দুটি উপাদান খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণের সাথে কিছু পরিমাণ কাঠবাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রকারে ম্যাসাজ করে লাগান। এই প্যাকটি স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করার সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
৪.মধু এবং লেবুর রস :
লেবু ত্বক পরিষ্কার করে এবং মধু ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। মধু এবং লেবুর রস পারফেক্ট ক্লিনজার। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে মধু এবং লেবুর এই মিশ্রণটি। দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫.আপেল ফেইস প্যাক :
ফল হিসাবে আপেলের পুষ্টিগুণের কথা সবার জানা। ত্বক পরিষ্কারক হিসাবে এই আপেল দারুণ কাজ করে। একটি আপেল সিদ্ধ করে নিন। একটি কাঁটা চামচ দিয়ে সিদ্ধ আপেলটি ভালো করে ম্যাশ করুন। এরপর এরসাথে এক চা চামচ ক্রিম, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট এই প্যাকটি ত্বকে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। আর পেয়ে যান ক্লিন, ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল ত্বক।
নরমাল ত্বকের যত্ন
১. সকাল এবং রাতে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে মেকআপ করার পর অবশ্যই ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিবেন। ২. মুখ ধোয়ার পর সকালে এবং রাতে কিছুটা ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ৩. সপ্তাহে একবার ত্বক এক্সফলিয়েট করুন ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে। ৪. স্কিন মাস্ক সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে এক্সফলিয়েশন-এর পর ত্বকে একটি ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন। ৫. দিনেরবেলায় রোদে যাওয়ার সময় অব্যশই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন কিংবা এসপিএফ (SPF) সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি সাধারণ ত্বকের ক্লিনজার:
ত্বক পরিষ্কার করতে সাধারণত সবাই ক্লিনজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ক্লিনজার ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে না, আবার কিছু কিছু ক্লিনজার ত্বক শুষ্ক করে তোলে। বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাজারের ক্লিনজারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ক্লিনজার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। তাই আজ প্রাকৃতিক কিছু সাধারণ ত্বকের ক্লিনজার সম্পর্কে জেনে নিন।
১.টকদই:
টকদই নরমাল ত্বকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়। কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ত্বক পরিষ্কার করবে তা কিন্তু নয়, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে টকদই বেশ কার্যকরী।
২.টকদই এবং মধু:
নরমাল ত্বকের জন্য টকদই এবং মধু একটি আর্দশ ফেইস প্যাক। দুই চা চামচ টকদই এবং এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। প্যাকটি ২-৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
৩.ডিম এবং মধু :
ফ্রেশ এবং সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন প্রোট্রিন এবং ভিটামিন। আর প্রোট্রিনের পারফেক্ট উৎস হলো ডিম। মধু আর ডিমের এই প্যাকটি আপনার ত্বককে করে তুলবে আরো বেশি মসৃণ এবং সতেজ। একটি পাত্রে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চা চামচ মধু নিন। এই দুটি উপাদান খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণের সাথে কিছু পরিমাণ কাঠবাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রকারে ম্যাসাজ করে লাগান। এই প্যাকটি স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করার সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
৪.মধু এবং লেবুর রস :
লেবু ত্বক পরিষ্কার করে এবং মধু ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। মধু এবং লেবুর রস পারফেক্ট ক্লিনজার। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে মধু এবং লেবুর এই মিশ্রণটি। দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫.আপেল ফেইস প্যাক :
ফল হিসাবে আপেলের পুষ্টিগুণের কথা সবার জানা। ত্বক পরিষ্কারক হিসাবে এই আপেল দারুণ কাজ করে। একটি আপেল সিদ্ধ করে নিন। একটি কাঁটা চামচ দিয়ে সিদ্ধ আপেলটি ভালো করে ম্যাশ করুন। এরপর এরসাথে এক চা চামচ ক্রিম, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট এই প্যাকটি ত্বকে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। আর পেয়ে যান ক্লিন, ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল ত্বক।