শীতকালে ফাটা গোড়ালি যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমনই অনেকের ক্ষেত্রে তা যন্ত্রণাদায়কও, বেশি বাড়াবাড়ি হলে পায়ের ফেটে যাওয়া অংশ থেকে রক্তপ...
শীতকালে ফাটা গোড়ালি যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমনই অনেকের ক্ষেত্রে তা যন্ত্রণাদায়কও, বেশি বাড়াবাড়ি হলে পায়ের ফেটে যাওয়া অংশ থেকে রক্তপাতও হয়। তাই শীত আসার আগেই সতর্কতা জরুরি।
যাদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তারা সারাবছরই পায়ের যত্ন নিন। তাহলে শীতকালে অনেকটাই এড়াতে পারবেন এই সমস্যা।
যাদের কাজের প্রয়োজনে বেশি হাঁটাহাঁটি করতে হয়, বা যারা অনেকক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের পা ফাটার প্রবণতা বেশি হয়। শীতে যাদের গোড়ালি ফাটে, শীতকাল ছাড়াও বছরের অন্য সময়ে হাল্কা হলেও ক্রিমের প্রলেপ দিতে হবে দু’ পায়ের পাতায়।
বাড়ি থেকে বের হলে পায়ে সবসময় উলের বা সুতির মোজা পরুন। সঙ্গে, পা ঢাকা জুতা। বাড়িতেও স্লিপারের সঙ্গে সুতির মোজা পরে থাকা ভাল। অনেকেই এখন সারা বছর পায়ে সুতির মোজা পরেন। এতে পা ভাল থাকে।
কষ্ট হলেও গরমে যদি বাড়ির বাইরে সুতির মোজা পরে থাকতে পারেন, তা হলে শীতকালে উপকার পাবেন। অনেকটাই কমবে পা ফাটার সমস্যা। জুতা-মোজায় যেমন পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকে, তেমনই অন্যদিকে, জীবাণু থেকেও রক্ষা পায় পা।
ব্যস্ততার মধ্যে একটি কাজ পায়ের জন্য নিয়মিত করুন। ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ভাল করে পা মুছে ক্রিম লাগান। সব থেকে ভাল হয়, যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা করতে পারেন। মোছার পরে শুকনো পায়ে ক্রিম লাগিয়ে সুতির মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। নইলে, অন্য যে কোনও সময় এটা করতে পারেন। ধরুন, টিভি দেখতে দেখতে বা মোবাইলে চ্যাট করার সময় পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন হাল্কা উষ্ণ জলে। এতে সময় বাঁচল। আবার পায়ের যত্ন-আত্তিও হল।
প্রধানত শুষ্ক বাতাসে পায়ের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্যই এর ত্বক ফাটতে শুরু করে। কিন্তু শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, আরও কিছু কারণে পা ফাটতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় পানি খাওয়া কম হলে বা দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে স্নান করলেও পা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, বা যারা পিউমিস স্টোন দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পা পরিষ্কার করেন, তাদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অনেক বেশি।
তাই, শুধু পার্লারে গিয়ে পেডিকিওরই নয়। বাড়িতেও ঘরোয়া উপায়ে পায়ের যত্ন নিন সারা বছর।