ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সবকিছু গিলে ফেলা রহস্যময় এক শক্তির প্রতিচ্ছবি। এই ধারণা এবার বোধহয় ভাঙতে চলেছ...
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সবকিছু গিলে ফেলা রহস্যময় এক শক্তির প্রতিচ্ছবি। এই ধারণা এবার বোধহয় ভাঙতে চলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাকাশে এক ব্ল্যাকহোলের খোঁজ পেয়েছেন যেটি ধ্বংস নয়, বরং সৃষ্টিতে ব্যস্ত। নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম দিয়ে চলেছে নিয়মিত!
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি’ ও সহায়ক একাধিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে নতুন এই ব্ল্যাকহোলের সন্ধান মিলেছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্ল্যাকহোলটির অবস্থান পৃথিবী থেকে ৯৯০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি ছায়াপথের কেন্দ্রে। ছায়াপথটির আশপাশে রয়েছে আরও ৭টি ছায়াপথ।
প্রথমে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পদার্থ নির্গত বিশেষ ধরনের রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করে টেলিস্কোপ। দেখা যায়, তা নির্গত হচ্ছে একটি ব্ল্যাকহোল থেকে। ব্ল্যাকহোলটির চারপাশ ঘিরে থাকা উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড থেকে নির্গত তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গও শনাক্ত করা হয়। এসব উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড বিস্তৃত হয়ে আশপাশের ৪টি ছায়াপথে ছড়িয়ে পড়ছে। কিছু গ্যাস শীতল হয়ে জমাট বাঁধছে। এই মিথস্ক্রিয়ায়ই নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম হচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
ইতালির বোলোগানার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক রবার্তো গিলি বলেন, এই প্রথম আমরা একই সঙ্গে একাধিক ছায়াপথে নক্ষত্রের জন্ম দিয়ে চলা কোনো ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেলাম।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।