Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

প্রাকৃতিক উপায়ে গলা ব্যথা কমাবেন কীভাবে ও দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে জাদুকরী পানীয়

প্রাকৃতিক উপায়ে গলা ব্যথা কমাবেন: সাধারণত গলা ব্যথা হচ্ছে ঠাণ্ডার একটি প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও ভোকাল কর্ডের সমস্যাজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার...

প্রাকৃতিক উপায়ে গলা ব্যথা কমাবেন:

সাধারণত গলা ব্যথা হচ্ছে ঠাণ্ডার একটি প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও ভোকাল কর্ডের সমস্যাজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বা আরো মারাত্মক কোন সমস্যা যেমন- স্ট্রেপ থ্রোট এর কারণেও হতে পারে গলা ব্যথা। বোস্টনের ব্রিগহ্যাম এন্ড ওমেন্স হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জেফ্রি লিন্ডার বলেন, “গলা ব্যথা শুরু হলে এর কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে এই ব্যথা কমানোর উপায় নিয়েই চিন্তা করা হয় প্রথমে। আপনি হয়তো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হবেন। কিন্তু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেই গলা ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব”। গলা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।টনসিল ইনফেকশনের কারণেই সাধারণত গলায় ব্যথা হয়। যেকোনো সময় যেকোনো বয়সের মানুষের টনসিল ইনফেকশন হতে পারে।

হতে পারে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর। ইনফেকশন বেড়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা টনসিলের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেই সে উপায়গুলো।

মেথি: মেথি টনসিলের ব্যথা রোধ বেশ উপকারী। এক লিটার পানিতে তিন চা চামচ মেথি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট জ্বাল দিতে থাকুন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। মেথি গলা ফুলা এবং ব্যথা কমিয়ে দেবে।

মেন্থল: মেন্থল সুপরিচিত এর নিঃশ্বাসের সুগন্ধ সৃষ্টিকারী গুণের জন্য। পিপারমেন্ট অয়েল সমৃদ্ধ স্প্রে গলা ব্যথা কমতে সাহায্য করে। মিউকাসকে পাতলা করতে এবং কাশি ও গলা ব্যথা কমতে সাহায্য করে মেন্থল। ২০০৮ সালের এক গবেষণায় জানা যায় যে, পিপারমেন্ট এর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান আছে, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।

আদা চা: এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান ইনফেকশন ছড়াতে বাধা প্রদান করে। এর সাথে সাথে ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে।

গ্রিন টি এবং মধু: এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার এটি আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে চা পান করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয় এবং টনসিলের ব্যথা ধীরে ধীরে কমিয়ে থাকে।

লবণ পানি: গলা ব্যথা বা টনসিল ইনফেকশন দূর করার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হলো লবণ পানি। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ধবংশ করার সাথে সাথে গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এটি তিন ঘন্টা পর পর করুন।বা

লবণ পানি: আদিকাল থেকে গলা ব্যথার উপশম হিসেবে লবণ পানির ব্যবহার হয়ে আসছে। ১ কাপ গরম পানির মধ্যে ১/৪ চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচা করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলা ব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।

লেবুর রস: ২০০ মিলিগ্রাম গরম পানিতে লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, আধা চা চামচ লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। যতদিন গলা ব্যথা ভাল না হয় তত দিন পর্যন্ত এটি ব্যবহার করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি বেশ কার্যকরী।

দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে জাদুকরী পানীয়

গলা ব্যথা নেই এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। এমনও অনেকে রয়েছেন যাদের গলা ব্যাথা লেগেই থাকে। তাই ভীষণ গলা ব্যথা কিংবা কথা বলতে গেলে কষ্ট হয়? এ রকম ক্ষেত্রে চট করে গলা ব্যথা কমিয়ে ফেলা বেশ কঠিন একটি কাজ। যতই এটা-সেটা করুন না কেন, সারতে সময় নেবে। তবে উপায় আছে। দ্রুত গলা ব্যথা সারিয়ে তুলতে চটজলদি ১ মিনিটে তৈরি করে ফেলতে পারেন “বেকিং সোডার চা”।

এটা দিয়ে গরগরে কুলকুচি করুন দিনে ৩ বার। ব্যথা কমবেই কমবে, সেরে যাবে গলার সমস্যা কোন ওষুধ ছাড়াই!

যা যা লাগবে- ফুটন্ত গরম পানি ১ কাপ, ১/২ চা চামচ লবণ, ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয় কিন্তু!)

যেভাবে ব্যবহার করবেন- পানি ফুটিয়ে গরম করে নিন। তারপর এর সাথে মিশিয়ে নিন বেকিং সোডা ও লবণ। দুটোই পানির সাথে মিশে যাবে। তারপর এই পানি মুখে নিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ, অর্থাৎ আপনার গলা পানি স্পর্শ পাবে। এতে বেকিং সোডা দেখাতে পারবে নিজের ম্যাজিক। পানিটা মুখের ভেতরে কিছুক্ষণ রাখার পর গারগল করুন। এভাবে পর পর ২/৩ বার বা ১ কাপ পানি শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত গারগল করুন। দিনে ৩ বার করে।

কীভাবে কাজ করে? বেকিং সোডার আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী, যা আপনার গলার ইনফেকশন দ্রুত সারিয়ে তোলে। ফলে গলা ব্যথা ও আপনার কষ্ট দুটোই কমে। যেভাবে কোন পোকার কামড়ের স্থানে বেকিং সোডা লাগালে আরাম হয়, একই ভাবে গলার টিস্যুগুলোকেও আরাম দেয় বেকিং সোডা। এবং এটি ব্যবহারের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।