পৃথিবীতে কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে প্যারেন্টিং (Parenting) অন্যতম। এই কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায় যখন বাচ্চাদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়। আর...
পৃথিবীতে কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে প্যারেন্টিং (Parenting) অন্যতম। এই কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায় যখন বাচ্চাদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়। আর এটি সম্ভব একমাত্র বাচ্চাদের সাথে Good Communication এর মাধ্যমে। আমরা একটা সময় পার করে এসেছি যখন বাবা-মায়ের সাথে সহজে কথা বলা সম্ভব ছিল না। বাবা-মারা (বিশেষ করে বাবারা) এমন একটি দূরত্ব বজায় রাখতেন যাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হত না। কিন্তু এখনকার সচেতন বাবা-মা সেই পাঁচিল এখন অনেকটাই ভাঙ্গতে পেরেছেন।
কিন্তু শিশুর সাথে খালি বেশি কথা বলা বা সময় দেয়াই খালি সন্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরির উপায় নয়। এমন কিছু টেকনিক আছে যেগুলো যদি আপনি মেনে না চলেন তাহলে আপনার শিশু সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহজাত সম্পর্ক তৈরি হওয়া বেশ কঠিন।
আমরা এই আর্টিকেলে যে টেকনিকগুলো তুলে ধরেছি সেগুলো বিখ্যাত Time Magazine এ প্রকাশিত Dr. Ron Taffel এর লেখার উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছি বাংলাদেশের অভিভাবকদের জন্য। আশা করি অভিভাবকদের উপকারে আসবে।
লেখাটি পড়া শেষ করে অবশ্যই আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করুন। দুজন মিলে ঠিক করুন এই টেকনিকগুলো মেনে চলবেন। এবং পরিচিত অন্য অভিভাবকদের সাথে শেয়ার করুন ফেসবুক বা অন্য কোথাও।
যে ৭ টি টেকনিকের উল্লেখ সেগুলো নিচে বিস্তারিত দেয়া হলঃ
মনোযোগ দিয়ে কথা শুনুনঃ আপনার বাচ্চা কি বলছে তা শুনুন। নিজে বেশি বলার থেকে আপনার বাচ্চাকে বেশি কথা বলতে দিন। আপনার বাচ্চা যখন কোন গল্প বলবে তখন ছোট ছোট প্রশ্ন করুন যেন সে বুঝতে পারে আপনি তার গল্প মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। তার কথা আপনি শুনছেন এবং গুরুত্ব দিচ্ছেন এতে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। তার মধ্যে এই ধারণা তৈরি হবে যে সে গুরুত্বপূর্ণ।
কথা বলুন যখন আপনার বাচ্চা কোন কাজের মধ্যে থাকবেঃ
কিন্তু শিশুর সাথে খালি বেশি কথা বলা বা সময় দেয়াই খালি সন্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরির উপায় নয়। এমন কিছু টেকনিক আছে যেগুলো যদি আপনি মেনে না চলেন তাহলে আপনার শিশু সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহজাত সম্পর্ক তৈরি হওয়া বেশ কঠিন।
আমরা এই আর্টিকেলে যে টেকনিকগুলো তুলে ধরেছি সেগুলো বিখ্যাত Time Magazine এ প্রকাশিত Dr. Ron Taffel এর লেখার উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছি বাংলাদেশের অভিভাবকদের জন্য। আশা করি অভিভাবকদের উপকারে আসবে।
লেখাটি পড়া শেষ করে অবশ্যই আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করুন। দুজন মিলে ঠিক করুন এই টেকনিকগুলো মেনে চলবেন। এবং পরিচিত অন্য অভিভাবকদের সাথে শেয়ার করুন ফেসবুক বা অন্য কোথাও।
যে ৭ টি টেকনিকের উল্লেখ সেগুলো নিচে বিস্তারিত দেয়া হলঃ
মনোযোগ দিয়ে কথা শুনুনঃ আপনার বাচ্চা কি বলছে তা শুনুন। নিজে বেশি বলার থেকে আপনার বাচ্চাকে বেশি কথা বলতে দিন। আপনার বাচ্চা যখন কোন গল্প বলবে তখন ছোট ছোট প্রশ্ন করুন যেন সে বুঝতে পারে আপনি তার গল্প মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। তার কথা আপনি শুনছেন এবং গুরুত্ব দিচ্ছেন এতে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। তার মধ্যে এই ধারণা তৈরি হবে যে সে গুরুত্বপূর্ণ।
কথা বলুন যখন আপনার বাচ্চা কোন কাজের মধ্যে থাকবেঃ
শিশুরা সহজে মন খুলে কথা বলে যখন তারা অন্য কোন কাজে একটিভ থাকে। যেমন ধরুন, স্কুলে যাবার সময়, গোসল করানোর সময়, খাবার সময় অথবা খেলার ফাঁকে এমনকি ঘুমানোর আগে হতে পারে উপযুক্ত সময় তার সাথে কথা বলার অথবা তার কথা শুনার। এতে বাচ্চার সাথে আপনার সম্পর্কের দুরুত্ব যেমন কমবে আবার সেই সাথে আপনার বাচ্চার সাথে কথা বলাও অনেক সহজাত হবে।
বাচ্চার কথা শুনার সময় নিজেকে অন্য কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুনঃ যখন আপনার বাচ্চা আপনার সাথে কথা বলতে আসবে অথবা সে চাচ্ছে যে আপনি তাকে সময় দিন। তখন অবশ্যই টিভি দেখা, পেপার পড়া অথবা অন্য কোন কাজ করা থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে বিরত রাখুন। এতে আপনার বাচ্চা যখন দেখবে আপনি তার সাথে সময় কাটানোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাহলে তার নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে এবং নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।
আপনার শিশুর আবেগকে গুরুত্ব দিনঃ আপনার শিশুর আবেগকে প্রকাশ করতে দিন। তার রাগ, আনন্দ, হাসি, কান্না, দুঃখ, কৌতুহল প্রকাশ করতে দিন। যদি শিশুদের সবসময় বলা হয় যে এতো বেশি কান্না করো না অথবা রাগ করা ভালো না অথবা এতো প্রশ্ন করো কেন তাহলে একটা সময় সে আবেগশুন্য হয়ে যাবে। আবেগকে প্রকাশ করতে মানা করার থেকে বরং আবেগকে কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় সে শিক্ষা দিন। ধমক না দিয়ে বরং সে কেন রাগ করছে অথবা কান্না করছে সেটি শুনতে চান। আপনি তার আবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এতে আপনার প্রতি তার বিশ্বাস স্থাপিত হবে।
অনেক সময় আমরা বলি যে ছেলে মানুষের কাঁদতে হয় না। এটি ছেলে শিশুরা ছোটবেলা থেকে শুনে শুনে নিজেদের এমনভাবে তৈরি করে ফেলে যে অন্যর সামনে কাঁদাকে দুর্বলতা হিসাবে দেখে। এতে করে ধীরে ধীরে নিজের আবেগকে সে চাপা দেয় যাতে করে পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যাপার প্রযোজ্য।
কখনোই বিচারক হওয়া যাবে নাঃ শিশুরা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। যেখানে আমরা বড়রা প্রতিনিয়ত ভুলের মাধ্যমে শিখছি সেখানে আমাদের শিশুদের জন্যও এমন পরিবেশ রাখা উচিৎ যেন সে ভুলের মধ্য দিয়ে শিখতে পারে। কোন কাজে ভুল করলে তাকে অযথা বকাবকি বা রাগ না দেখিয়ে তাকে তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে সুন্দরভাবে বুঝানো উচিত। তোমার এটা করা উচিৎ হয়নি – এভাবে না বলে বরং আমি তোমার জায়গায় থাকলে এমনটা করতাম – এভাবে শুরু করা যায়। এতে সে নির্ভয়ে আপনাকে সবকিছু বলতে পারবে।
যে শিশু যেমন তার সাথে তারমতো করে কথা বলতে হবেঃ আমাদের বড়দের নিজেদের প্রতি আত্মনিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি তাই প্রয়োজন অনুসারে আমরা নিজেদের বদলাতে পারি। কিন্তু একটি শিশুর ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে যে শিশু যেমন তার সাথে তেমন ভাবেই কথা বলতে হবে। যেমন, অনেক শিশুই নতুন কারো সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। সেক্ষেত্রে তাকে জোর করে নতুন কারো সাথে কথা বলান উচিৎ না। আবার অনেক শিশুই নিজেরা কথা বলার সময় পছন্দ করে না তখন অন্য কেউ কথা বলুক। সেক্ষেত্রেও তার কথার মাঝে প্রশ্ন না করে শেষ করার পর প্রশ্ন করুন।
বেশি বেশি করে নিজের ছোটবেলার কথা শেয়ার করুনঃ যখন শিশুর সাথে গল্প করবেন তখন গল্পের অনেকখানি জায়গা যেন থাকে আপনার ছোটবেলার গল্প দিয়ে। আবার আপনার শিশুর কোন খারাপ অভ্যাসের পরিবর্তন আপনি চান সেটি সরাসরি তাকে করতে মানা করার থেকে আপনার ছোটবেলার গল্প করে বলতে পারেন যে আপনি ছোটবেলায় কিভাবে শিখেছেন। আপনি নিজেও যে ছোটবেলায় ভুল করতেন সেটি শেয়ার করুন। আপনি নিজে কিভাবে ভুল করে শিখেছেন সেটি বলুন। এতে করে শিশু বুঝতে পারে যে তার বাবা-মাও এক সময় তার মতো এমন ছোট ছিল এবং এরকম ভুল করত। এতে করে ভুল করার প্রতি তার ভয় কমবে। আর আপনার সাথে বিভিন্ন জিনিস শেয়ারও করবে। গোপন করা বা মিথ্যা বলার প্রবণতা কমে যাবে একদম।
তাই শিশুকে কোন কিছু মানা করা বা কিছু করার ক্ষেত্রে বুঝাতে চাইলে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের ছোটবেলার উদারহণ দেয়া। নিজের যদি এমন না থাকে তাহলে শিশুর পরিচিত অন্য কারোর উদারহণ দিতে পারেন। যেমন শিশুর খালা, চাচা, দাদা-দাদি বা অন্য কোন কাছের আত্মীয় যাকে সে চিনে।
উপরের এই নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি শিশুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বজায় রাখেন তাহলে আপনার সাথে আপনার শিশুর সম্পর্ক সহজ হবে এবং পাশাপাশি তার মানসিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
বাচ্চার কথা শুনার সময় নিজেকে অন্য কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুনঃ যখন আপনার বাচ্চা আপনার সাথে কথা বলতে আসবে অথবা সে চাচ্ছে যে আপনি তাকে সময় দিন। তখন অবশ্যই টিভি দেখা, পেপার পড়া অথবা অন্য কোন কাজ করা থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে বিরত রাখুন। এতে আপনার বাচ্চা যখন দেখবে আপনি তার সাথে সময় কাটানোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাহলে তার নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে এবং নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।
আপনার শিশুর আবেগকে গুরুত্ব দিনঃ আপনার শিশুর আবেগকে প্রকাশ করতে দিন। তার রাগ, আনন্দ, হাসি, কান্না, দুঃখ, কৌতুহল প্রকাশ করতে দিন। যদি শিশুদের সবসময় বলা হয় যে এতো বেশি কান্না করো না অথবা রাগ করা ভালো না অথবা এতো প্রশ্ন করো কেন তাহলে একটা সময় সে আবেগশুন্য হয়ে যাবে। আবেগকে প্রকাশ করতে মানা করার থেকে বরং আবেগকে কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় সে শিক্ষা দিন। ধমক না দিয়ে বরং সে কেন রাগ করছে অথবা কান্না করছে সেটি শুনতে চান। আপনি তার আবেগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এতে আপনার প্রতি তার বিশ্বাস স্থাপিত হবে।
অনেক সময় আমরা বলি যে ছেলে মানুষের কাঁদতে হয় না। এটি ছেলে শিশুরা ছোটবেলা থেকে শুনে শুনে নিজেদের এমনভাবে তৈরি করে ফেলে যে অন্যর সামনে কাঁদাকে দুর্বলতা হিসাবে দেখে। এতে করে ধীরে ধীরে নিজের আবেগকে সে চাপা দেয় যাতে করে পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যাপার প্রযোজ্য।
কখনোই বিচারক হওয়া যাবে নাঃ শিশুরা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। যেখানে আমরা বড়রা প্রতিনিয়ত ভুলের মাধ্যমে শিখছি সেখানে আমাদের শিশুদের জন্যও এমন পরিবেশ রাখা উচিৎ যেন সে ভুলের মধ্য দিয়ে শিখতে পারে। কোন কাজে ভুল করলে তাকে অযথা বকাবকি বা রাগ না দেখিয়ে তাকে তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে সুন্দরভাবে বুঝানো উচিত। তোমার এটা করা উচিৎ হয়নি – এভাবে না বলে বরং আমি তোমার জায়গায় থাকলে এমনটা করতাম – এভাবে শুরু করা যায়। এতে সে নির্ভয়ে আপনাকে সবকিছু বলতে পারবে।
যে শিশু যেমন তার সাথে তারমতো করে কথা বলতে হবেঃ আমাদের বড়দের নিজেদের প্রতি আত্মনিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি তাই প্রয়োজন অনুসারে আমরা নিজেদের বদলাতে পারি। কিন্তু একটি শিশুর ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে যে শিশু যেমন তার সাথে তেমন ভাবেই কথা বলতে হবে। যেমন, অনেক শিশুই নতুন কারো সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। সেক্ষেত্রে তাকে জোর করে নতুন কারো সাথে কথা বলান উচিৎ না। আবার অনেক শিশুই নিজেরা কথা বলার সময় পছন্দ করে না তখন অন্য কেউ কথা বলুক। সেক্ষেত্রেও তার কথার মাঝে প্রশ্ন না করে শেষ করার পর প্রশ্ন করুন।
বেশি বেশি করে নিজের ছোটবেলার কথা শেয়ার করুনঃ যখন শিশুর সাথে গল্প করবেন তখন গল্পের অনেকখানি জায়গা যেন থাকে আপনার ছোটবেলার গল্প দিয়ে। আবার আপনার শিশুর কোন খারাপ অভ্যাসের পরিবর্তন আপনি চান সেটি সরাসরি তাকে করতে মানা করার থেকে আপনার ছোটবেলার গল্প করে বলতে পারেন যে আপনি ছোটবেলায় কিভাবে শিখেছেন। আপনি নিজেও যে ছোটবেলায় ভুল করতেন সেটি শেয়ার করুন। আপনি নিজে কিভাবে ভুল করে শিখেছেন সেটি বলুন। এতে করে শিশু বুঝতে পারে যে তার বাবা-মাও এক সময় তার মতো এমন ছোট ছিল এবং এরকম ভুল করত। এতে করে ভুল করার প্রতি তার ভয় কমবে। আর আপনার সাথে বিভিন্ন জিনিস শেয়ারও করবে। গোপন করা বা মিথ্যা বলার প্রবণতা কমে যাবে একদম।
তাই শিশুকে কোন কিছু মানা করা বা কিছু করার ক্ষেত্রে বুঝাতে চাইলে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের ছোটবেলার উদারহণ দেয়া। নিজের যদি এমন না থাকে তাহলে শিশুর পরিচিত অন্য কারোর উদারহণ দিতে পারেন। যেমন শিশুর খালা, চাচা, দাদা-দাদি বা অন্য কোন কাছের আত্মীয় যাকে সে চিনে।
উপরের এই নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি শিশুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বজায় রাখেন তাহলে আপনার সাথে আপনার শিশুর সম্পর্ক সহজ হবে এবং পাশাপাশি তার মানসিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।