IELTS, GMAT, GRE, SAT, TOEFL এই নামগুলো আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে এই পরীক্ষাগুলোর স্কোর যে দরকার পড়ে,...
IELTS, GMAT, GRE, SAT, TOEFL এই নামগুলো আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে এই পরীক্ষাগুলোর স্কোর যে দরকার পড়ে, এই তথ্যটা আমাদের অনেকের জানা থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য ঠিক কোন দেশে কোন কোর্স, এসব কোর্সের সিলেবাসটাই বা কিরকম, মোট কত নম্বর থাকে, পরীক্ষা কিভাবে দিতে হয় কিংবা স্কলারশিপ পেতে হলে কত নম্বর পাওয়া লাগে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আমাদের বেশীরভাগেরই জানা নেই।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই কোর্সগুলোর খুঁটিনাটি বিষয় সমূহ জানতে হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য আপাতত যাদের বিদেশ যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নাই তারাও কিন্তু এই বিশদ তথ্যগুলো জেনে রাখতে পারেন। বলা তো যায়না, কোনদিন যদি কাজে লেগে যায়!
International English Language Testing System সংক্ষেপে IELTS নামে পরিচিত। আইইএলটিএস হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরীক্ষা। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি না এই পরীক্ষা মূলত তাদের জন্য। আগেকার সময়ে কেবল যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে আইইএলটিএসের স্কোর দরকার হতো, কিন্তু এখন ইউরোপের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোও আইইএলটিএসের স্কোর গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও, উচ্চশিক্ষার জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে যেতে এই পরীক্ষার স্কোর খুব কাজে আসে। আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত কিংবা বয়সগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। চাইলে যেকেউ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি: আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া ও ক্যামব্রিজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসেসমেন্ট কর্তৃক যৌথভাবে এটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা আইডিপি’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এ পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণা দুটোই হয় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে।
আইইএলটিএস পরীক্ষা হয় চারটি অংশে-
রিডিং
রাইটিং
স্পিকিং
লিসেনিং
১-৯ এর স্কেলে স্কোরিং করা হয়ে থাকে। সাধারণত ৬-এর বেশি নম্বর পেলেই তা ভালো স্কোর বলে বিবেচিত হয়। তবে স্নাতকোত্তর ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য ৭-৮ স্কোর ভালো।
আইইএলটিএস-এর প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে। ইংরেজির বেসিক ভালো হলে কোচিং সেন্টারে না গিয়েও নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিয়ে ৭-৭.৫ স্কোর অনায়াসেই পেয়ে যেতে পারেন। নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ক্যামব্রিজের বই রয়েছে। বইগুলোতে মডেল প্রশ্ন ও সলিউশনের পাশাপাশি রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিংয়ের জন্য সিডিসহ নির্দেশিকা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আইইএলটিএস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪,৫০০ টাকা। স্কোরের মেয়াদ ২ বছর।
আইইএলটিএসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ielts.org
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটঃ www.britishcouncil.org/Bangladesh
আইইএলটিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
অনেকটা আইইএলটিএস পরীক্ষার মতই। টোফেল যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পরীক্ষা পদ্ধতি হলেও ইউরোপে এর বেশ কদর রয়েছে। পূর্ণরূপ- Test of English as a Foreign Language (TOFEL)। জিম্যাট-জিআরই’র মত টোফেল পরিচালনাকারী সংস্থায়ও Educational Testing Service বা (ETS)।
পরীক্ষা হয় অনলাইনে। পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ওবেবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হয়। খরচ পড়বে ১৬০ ডলার।
আইএলটিএসের মত টোফেল পরীক্ষাও হয় চারটি অংশে-
রিডিং
লিসেনিং
স্পিকিং
রাইটিং
টোফেল পরীক্ষায় সর্বমোট নম্বর থাকে ১২০। হার্ভার্ডে পড়তে চাইলে কমপক্ষে ১০০ এবং অক্সফোর্ডে পড়তে চাইলে ১০৯ স্কোর পেতে হয়। টোফেল পরীক্ষার স্কোরের মেয়াদ থাকে ২ বছর।
টোফেলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ets.org/toefl
টোফেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে : উইকিপিডিয়া
Graduate Management Admission Test সংক্ষেপে GMAT নামে পরিচিত। উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় MBA করতে চাইলে মূলত এ পরীক্ষার দরকার পড়ে। জিম্যাট পরিচালনাকারী সংস্থা হলো- Graduate Management Admission Council (GMAC)।
সাড়ে তিন ঘন্টার এ পরীক্ষাটি চার ভাগে হয়ঃ
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্টে থাকবে ৩০ মিনিট (একটি প্রশ্নে)
ইন্টিগ্রেটেড রিজনিংয়ের জন্য থাকবে ৩০ মিনিট (প্রশ্ন সংখ্যা ১২ টি)
কোয়ান্টিটেটিভ সেকশনের জন্য থাকবে ৭৫ মিনিট (৩৭ টি প্রশ্নে)
ভার্বাল সেকশনের জন্য থাকবে ৪৫ মিনিট (৪১ টি প্রশ্নে)
পরীক্ষায় সর্বমোট নম্বর থাকে ৮০০। ভালো শিক্ষাবৃত্তি পেতে হলে অন্তত ৭০০ নম্বর পাওয়া লাগে। পুরো পরীক্ষা কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যায়।
জিম্যাট পরীক্ষা দিতে খরচ পড়বে ২৫০ ডলার। স্কোরের মেয়াদ থাকে ৫ বছর পর্যন্ত। প্রস্তুতির জন্য অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
জিম্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.mba.com
জিম্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
Graduate Record Examinations সংক্ষেপে GRE নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় যারা বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিতে চায় তাদের জন্যই মূলত এই পরীক্ষা।
জিআরই পরিচালনাকারী সংস্থা হলো Educational Testing Service (ETS)।
তিন ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের এ পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় তিন ভাগেঃ
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং
কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং
ভার্বাল রিজনিং
এই পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ২০৫ ডলার। জিম্যাটের মত এই পরীক্ষার স্কোরের মেয়াদও পাঁচ বছর পর্যন্ত বহাল থাকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে চাইলে এ পরীক্ষায় ৩১০+ স্কোর করা বেশ জরুরী।
জিআরই’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ets.org/gre
জিআরই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
উচ্চশিক্ষায় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষাটি বহুল ব্যবহৃত হলেও কানাডায়ও পরীক্ষাটি বেশ প্রচলিত। শিক্ষাসংক্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষা- Scholastic Aptitude Test সংক্ষেপে SAT নামেই পরিচিত।
৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের এ পরীক্ষায় ক্রিটিক্যাল রিডিং, গণিত ও ইংরেজি লেখার ওপরে ৮০০ নম্বর করে সর্বমোট ২৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। সর্বনিম্ন ৬০০ নম্বর পেতে হয়। তবে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য দুই হাজার বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া জরুরি।
স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন করে এ পরীক্ষা দিতে হয়। খরচ পড়বে ৯২ ডলারের মত। কাপলান, গ্রুবারস, ম্যাকগ্র-হিল, অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারনস, প্রিন্সটন রিভিউ ইত্যাদি পড়ে চাইলে নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিয়ে স্যাট পরীক্ষা দেওয়া যায়।
স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ sat.collegeboard.org
বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং আরো কয়েকটি দেশে যেতে চাইলে এই পরীক্ষা দিতে হয়। পুরো নাম Law School Admission Test (LSAT)। সাড়ে তিন ঘন্টার এ পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়
রিডিং কম্প্রিহেনসন
অ্যানালাইটিক্যাল রিজনিং
লজিক্যাল রিজনিং
রাইটিং
– এই কয়টি অংশ থেকে।
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.lsac.org/jd/lsat
আরো বিশদভাবে জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই কোর্সগুলোর খুঁটিনাটি বিষয় সমূহ জানতে হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য আপাতত যাদের বিদেশ যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নাই তারাও কিন্তু এই বিশদ তথ্যগুলো জেনে রাখতে পারেন। বলা তো যায়না, কোনদিন যদি কাজে লেগে যায়!
১. IELTS (আইইএলটিএস)
International English Language Testing System সংক্ষেপে IELTS নামে পরিচিত। আইইএলটিএস হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরীক্ষা। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি না এই পরীক্ষা মূলত তাদের জন্য। আগেকার সময়ে কেবল যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে আইইএলটিএসের স্কোর দরকার হতো, কিন্তু এখন ইউরোপের দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোও আইইএলটিএসের স্কোর গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও, উচ্চশিক্ষার জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে যেতে এই পরীক্ষার স্কোর খুব কাজে আসে। আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত কিংবা বয়সগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। চাইলে যেকেউ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি: আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া ও ক্যামব্রিজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসেসমেন্ট কর্তৃক যৌথভাবে এটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা আইডিপি’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এ পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষা এবং ফলাফল ঘোষণা দুটোই হয় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে।
আইইএলটিএস পরীক্ষা হয় চারটি অংশে-
রিডিং
রাইটিং
স্পিকিং
লিসেনিং
১-৯ এর স্কেলে স্কোরিং করা হয়ে থাকে। সাধারণত ৬-এর বেশি নম্বর পেলেই তা ভালো স্কোর বলে বিবেচিত হয়। তবে স্নাতকোত্তর ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য ৭-৮ স্কোর ভালো।
আইইএলটিএস-এর প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে অনেক কোচিং সেন্টার রয়েছে। ইংরেজির বেসিক ভালো হলে কোচিং সেন্টারে না গিয়েও নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিয়ে ৭-৭.৫ স্কোর অনায়াসেই পেয়ে যেতে পারেন। নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ক্যামব্রিজের বই রয়েছে। বইগুলোতে মডেল প্রশ্ন ও সলিউশনের পাশাপাশি রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং ও স্পিকিংয়ের জন্য সিডিসহ নির্দেশিকা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আইইএলটিএস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪,৫০০ টাকা। স্কোরের মেয়াদ ২ বছর।
আইইএলটিএসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ielts.org
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটঃ www.britishcouncil.org/Bangladesh
আইইএলটিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
২. TOFEL (টোফেল)
অনেকটা আইইএলটিএস পরীক্ষার মতই। টোফেল যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পরীক্ষা পদ্ধতি হলেও ইউরোপে এর বেশ কদর রয়েছে। পূর্ণরূপ- Test of English as a Foreign Language (TOFEL)। জিম্যাট-জিআরই’র মত টোফেল পরিচালনাকারী সংস্থায়ও Educational Testing Service বা (ETS)।
পরীক্ষা হয় অনলাইনে। পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে ওবেবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হয়। খরচ পড়বে ১৬০ ডলার।
আইএলটিএসের মত টোফেল পরীক্ষাও হয় চারটি অংশে-
রিডিং
লিসেনিং
স্পিকিং
রাইটিং
টোফেল পরীক্ষায় সর্বমোট নম্বর থাকে ১২০। হার্ভার্ডে পড়তে চাইলে কমপক্ষে ১০০ এবং অক্সফোর্ডে পড়তে চাইলে ১০৯ স্কোর পেতে হয়। টোফেল পরীক্ষার স্কোরের মেয়াদ থাকে ২ বছর।
টোফেলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ets.org/toefl
টোফেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে : উইকিপিডিয়া
৩. GMAT (জিম্যাট)
Graduate Management Admission Test সংক্ষেপে GMAT নামে পরিচিত। উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় MBA করতে চাইলে মূলত এ পরীক্ষার দরকার পড়ে। জিম্যাট পরিচালনাকারী সংস্থা হলো- Graduate Management Admission Council (GMAC)।
সাড়ে তিন ঘন্টার এ পরীক্ষাটি চার ভাগে হয়ঃ
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্টে থাকবে ৩০ মিনিট (একটি প্রশ্নে)
ইন্টিগ্রেটেড রিজনিংয়ের জন্য থাকবে ৩০ মিনিট (প্রশ্ন সংখ্যা ১২ টি)
কোয়ান্টিটেটিভ সেকশনের জন্য থাকবে ৭৫ মিনিট (৩৭ টি প্রশ্নে)
ভার্বাল সেকশনের জন্য থাকবে ৪৫ মিনিট (৪১ টি প্রশ্নে)
পরীক্ষায় সর্বমোট নম্বর থাকে ৮০০। ভালো শিক্ষাবৃত্তি পেতে হলে অন্তত ৭০০ নম্বর পাওয়া লাগে। পুরো পরীক্ষা কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যায়।
জিম্যাট পরীক্ষা দিতে খরচ পড়বে ২৫০ ডলার। স্কোরের মেয়াদ থাকে ৫ বছর পর্যন্ত। প্রস্তুতির জন্য অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
জিম্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.mba.com
জিম্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
৪. GRE (জিআরই)
Graduate Record Examinations সংক্ষেপে GRE নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় যারা বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিতে চায় তাদের জন্যই মূলত এই পরীক্ষা।
জিআরই পরিচালনাকারী সংস্থা হলো Educational Testing Service (ETS)।
তিন ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের এ পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয় তিন ভাগেঃ
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং
কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং
ভার্বাল রিজনিং
এই পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ২০৫ ডলার। জিম্যাটের মত এই পরীক্ষার স্কোরের মেয়াদও পাঁচ বছর পর্যন্ত বহাল থাকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে চাইলে এ পরীক্ষায় ৩১০+ স্কোর করা বেশ জরুরী।
জিআরই’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.ets.org/gre
জিআরই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
৫. SAT (স্যাট)
উচ্চশিক্ষায় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষাটি বহুল ব্যবহৃত হলেও কানাডায়ও পরীক্ষাটি বেশ প্রচলিত। শিক্ষাসংক্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষা- Scholastic Aptitude Test সংক্ষেপে SAT নামেই পরিচিত।
৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের এ পরীক্ষায় ক্রিটিক্যাল রিডিং, গণিত ও ইংরেজি লেখার ওপরে ৮০০ নম্বর করে সর্বমোট ২৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। সর্বনিম্ন ৬০০ নম্বর পেতে হয়। তবে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য দুই হাজার বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া জরুরি।
স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন করে এ পরীক্ষা দিতে হয়। খরচ পড়বে ৯২ ডলারের মত। কাপলান, গ্রুবারস, ম্যাকগ্র-হিল, অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারনস, প্রিন্সটন রিভিউ ইত্যাদি পড়ে চাইলে নিজে নিজেই প্রস্তুতি নিয়ে স্যাট পরীক্ষা দেওয়া যায়।
স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ sat.collegeboard.org
বিস্তারিত জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া
৬. LSAT (এলএসএটি)
আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং আরো কয়েকটি দেশে যেতে চাইলে এই পরীক্ষা দিতে হয়। পুরো নাম Law School Admission Test (LSAT)। সাড়ে তিন ঘন্টার এ পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়
রিডিং কম্প্রিহেনসন
অ্যানালাইটিক্যাল রিজনিং
লজিক্যাল রিজনিং
রাইটিং
– এই কয়টি অংশ থেকে।
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.lsac.org/jd/lsat
আরো বিশদভাবে জানতে চাইলেঃ উইকিপিডিয়া