Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

চলতি ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্টের (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) কার্যক্রম।

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্টের (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) কার্যক্রম। এরই মধ্যে তিন ধরনের ফির ...


অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্টের (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) কার্যক্রম। এরই মধ্যে তিন ধরনের ফির বিধান রেখে ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে না। এমনকি ছবি সংযোজন ও তা সত্যায়ন করারও দরকার হবে না। তবে পাসপোর্ট পেতে থাকতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি।

ই-পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যা, মেয়াদকাল, বিতরণের ধরন অনুসারে ভ্যাট ছাড়া সর্বনিম্ন ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্টের জরুরি ফি ভ্যাটসহ তিন হাজার ৪৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ফি ভ্যাটসহ ছয় হাজার ৯০০ টাকা।

ই-পাসপোর্ট চালুর সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। সময় নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়েই তারিখ নির্ধারণ করা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল গত জুলাই মাসে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই বর্তমানে প্রচলিত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বই সংকট দেখা দেয়। ফলে সারা দেশে জরুরি পাসপোর্ট পেতেও বিলম্ব হয়। পরবর্তী সময়ে সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে পাসপোর্ট বই সংগ্রহ করেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন। সেগুলো দিয়ে এখনো এমআরপির কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসে ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তারিখ যেদিন পাওয়া যাবে সেদিনই উদ্বোধন করা হবে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুটিই চালু থাকবে। নাগরিকরা যে ধরনের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবে, তাদের সেই পাসপোর্টই সরবরাহ করা হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে।

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ ও ১০ বছর। পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের, ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠা। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের—সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে। জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে : ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।




Sorce