Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

গর্ভধারণের জন্য শরীর ও মন কি প্রস্তুত?

গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এজন্য চাই মায়ের শারিরীক ও মানসিক প্রস্তুতি। আমাদের দেশে বেশিরভাগ গর্ভধারণই অপরিকল্পিত। কিন্তু গর্ভধারণের...

গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এজন্য চাই মায়ের শারিরীক ও মানসিক প্রস্তুতি। আমাদের দেশে বেশিরভাগ গর্ভধারণই অপরিকল্পিত। কিন্তু গর্ভধারণের আগে মায়ের সুস্বাস্থ্য ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করা গেলে অনেক জটিলতাই এড়ানো সম্ভব হবে। গর্ভধারণের জন্য মায়ের বয়স উপযুক্ত কি না তা আগে ভেবে নিন। ২০বছরের নিচে এবং ৩৫বছরের পর উভয় ক্ষেত্রেই মা হতে জটিলতার আশঙ্কা বেশি। আপনার ওজন গর্ভধারণের উপযোগী কি না দেখে নিন। ওজন কম বা বেশি হলে সঠিক ওজনে আসার চেষ্টা করুন।

পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার গর্ভকালীন সুস্থতা নিশ্চিত করতে জরুরী। ধূমপান, অ্যালকোহলের অভ্যাস আগেই ছাড়ুন। ইতিপূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকলে যেমন - বড়ি, ইনজেকশন, তাহলে গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কিভাবে এগুলো ছাড়বেন।

হেপাটাইটিস বি বা অন্য কোন টিকা নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে আগেই নিন। গর্ভধারণের আগে থেকে ফলিক এসিড খেতে শুরু করলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম অনেকটাই রোধ করা যায়। আপনি যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, হাঁপানি বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রস্তুতি নিন। জেনে নিন কোন ঔষধ চালিয়ে যাবেন আর কোনগুলো পরিবর্তন করতে হবে।

গর্ভধারণের চেষ্টাকালে কোন ঔষধ খাওয়ার আগে জেনে নিন এটা নিরাপদ কি না! আগেই গর্ভধারণে জটিলতার ইতিহাস থাকলে, গর্ভপাত বা মৃত শিশু প্রসব বা পূর্বের শিশুর জন্মগত সমস্যা থাকলে যে কারণে এটা ঘটেছিল এবং যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর দিন।

রক্তের গ্রুপ জেনে নিন এবং নেগেটিভ হয়ে থাকলে কি কি জটিলতা হতে পারে এবং কিভাবে তা মোকাবেলা করতে হয়, তা জেনে নিন।