নতুন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে ৪৪০ জনের আক্রান্ত...
নতুন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে ৪৪০ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে বেইজিং। বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের এক বিবৃতিতে বিশ্বের সব দেশকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
২২ জানুয়ারি বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা আরও দুই হাজার ১৯৭ জনকে শনাক্ত করার কথা নিশ্চিত করে ভাইরাসটি ‘হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে’ বলে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লি বিন জানিয়েছেন।
চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ও তাইওয়ানে আরও চার জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নতুন এ ভাইরাসে তাদেরও একজন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি রয়েছে সতর্কতা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোতে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।
করোনাভাইরাস কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সি-ফুডের সঙ্গে যুক্ত। করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। উট, বিড়াল এবং বাদুড় সহ অনেক প্রাণীর শরীরেই এই ভাইরাস প্রবেশ করতে সক্ষম। আর এই সব প্রাণী থেকেই ওই বিরল ভাইরাসে মানুষও সংক্রামিত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ?
ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, জ্বর, এগুলিই ওই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এর জেরে নিউমোনিয়া হতে পারে এবং এই ভাইরাস কিডনিরও ক্ষতি করে।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা
প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়ানো উচিত। আর আপনি যদি একান্তই এমন জায়গার কাছাকাছি থাকেন তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেন…
১. আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
২. আপনার নাক এবং মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
৩. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাঁদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।
এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের এক বিবৃতিতে বিশ্বের সব দেশকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
২২ জানুয়ারি বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা আরও দুই হাজার ১৯৭ জনকে শনাক্ত করার কথা নিশ্চিত করে ভাইরাসটি ‘হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে’ বলে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লি বিন জানিয়েছেন।
চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ও তাইওয়ানে আরও চার জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নতুন এ ভাইরাসে তাদেরও একজন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি রয়েছে সতর্কতা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোতে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।
করোনাভাইরাস কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সি-ফুডের সঙ্গে যুক্ত। করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। উট, বিড়াল এবং বাদুড় সহ অনেক প্রাণীর শরীরেই এই ভাইরাস প্রবেশ করতে সক্ষম। আর এই সব প্রাণী থেকেই ওই বিরল ভাইরাসে মানুষও সংক্রামিত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ?
ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, জ্বর, এগুলিই ওই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এর জেরে নিউমোনিয়া হতে পারে এবং এই ভাইরাস কিডনিরও ক্ষতি করে।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা
প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়ানো উচিত। আর আপনি যদি একান্তই এমন জায়গার কাছাকাছি থাকেন তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেন…
১. আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
২. আপনার নাক এবং মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
৩. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাঁদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।
আরও পড়ুন : চীনে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য দূতাবাসের হটলাইন
৪. ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।
৫. নন-ভেজ বিশেষত সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কেননা এই ভাইরাস সি-ফুড থেকেই ছড়ায়।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসা
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।