রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ মজনুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (৮ জ...
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ মজনুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে গ্রেফতার করলেও দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেফতারের বর্ণনা দেন র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম।
সিরিয়াল এ রেপিস্টকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয় তার বর্ণনায় সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘এটি ক্লুলেস মামলা ছিল। প্রথমে আমরা মেয়েটির (ভিকটিম) খোয়া যাওয়া মোবাইলফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই, মোবাইলফোনটি খায়রুল ইসলাম নামের একজনের কাছে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে আনা হয়। পাশাপাশি মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, খায়রুল একজন রিকশাচালক। অরুণা বিশ্বাস নামে তার পরিচিত এক নারী তাকে ডিসপ্লে ঠিক করার জন্য মোবাইলটি দেয়।
সেই সূত্রে অরুণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মজনু তার কাছে ডিসপ্লে ভাঙা একটি মোবাইল বিক্রি করে। সেটি খায়রুলকে মেরামত করার জন্য দিয়েছিল সে।
‘ভিকটিম শিক্ষার্থী ও অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নেয়া হয়। দুজনের বর্ণনা মিলে গেলে আমরা নিশ্চিত হই সেই ধর্ষক।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর তদন্ত করে দেখি, গতকাল সারাদিন মজনু বনানী রেলস্টেশনে ছিল। কড়া নজরদারিতে রেখে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে শ্যাওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানায়, ধর্ষণের পর মজনু এয়ারপোর্ট স্টেশন দিয়ে নরসিংদী চলে যায়। এরপর সেখান থেকে গতকাল বনানীতে আসে সে।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ঘটনায় গত দুই দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।div>
সিরিয়াল এ রেপিস্টকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয় তার বর্ণনায় সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘এটি ক্লুলেস মামলা ছিল। প্রথমে আমরা মেয়েটির (ভিকটিম) খোয়া যাওয়া মোবাইলফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই, মোবাইলফোনটি খায়রুল ইসলাম নামের একজনের কাছে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে আনা হয়। পাশাপাশি মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, খায়রুল একজন রিকশাচালক। অরুণা বিশ্বাস নামে তার পরিচিত এক নারী তাকে ডিসপ্লে ঠিক করার জন্য মোবাইলটি দেয়।
সেই সূত্রে অরুণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মজনু তার কাছে ডিসপ্লে ভাঙা একটি মোবাইল বিক্রি করে। সেটি খায়রুলকে মেরামত করার জন্য দিয়েছিল সে।
‘ভিকটিম শিক্ষার্থী ও অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নেয়া হয়। দুজনের বর্ণনা মিলে গেলে আমরা নিশ্চিত হই সেই ধর্ষক।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর তদন্ত করে দেখি, গতকাল সারাদিন মজনু বনানী রেলস্টেশনে ছিল। কড়া নজরদারিতে রেখে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে শ্যাওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানায়, ধর্ষণের পর মজনু এয়ারপোর্ট স্টেশন দিয়ে নরসিংদী চলে যায়। এরপর সেখান থেকে গতকাল বনানীতে আসে সে।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ঘটনায় গত দুই দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।div>