বেশ কয়েক দফা সময় পিছিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিকতা। পাসপোর...
বেশ কয়েক দফা সময় পিছিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিকতা। পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন পাসপোর্ট তুলে দিয়েই অত্যাধুনিক এ পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। যদিও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছাবে ধাপে ধাপে। বলা হচ্ছে এ প্রকল্পের সার্ভার অনেক বেশি সুরক্ষিত।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার আর নড়চড় হচ্ছে না কথায়। শিগগিরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। তবে একবারেই সবাই আসবে না এর আওতায়, প্রাথমিকভাবে মানতে হবে কিছু শর্ত।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, আমরা যেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তাতে খুব শিগগিরই একটা ভালো খবর দিতে পারব। সবাইকে একসাথে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে না। এটার জন্য একটা নীতিমালা হবে।
উত্তরার দিয়াবাড়িতে হবে মূল সার্ভার, সেখানে ৫ কোটি পাসপোর্টের ডাটা সংরক্ষণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। ৪৮ পাতার ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পেতে গুনতে হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা, আর দশ বছরের জন্য ৫ হাজার টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি এক্সপ্রেস পাসপোর্ট পেতে খরচ হবে ১২ হাজার টাকা, যা হাতে আসবে মাত্র ৭২ ঘণ্টায়।
মহাপরিচালক আরও বলেন, একটা নির্দিষ্ট ফি থাকবে। রেগুলার, এক্সপ্রেস ও সুপার এক্সপ্রেসের জন্য আলাদা আলাদা নীতিমালা তৈরি হবে।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেয়া হবে নতুন এ পাসপোর্ট। পরে তা বর্ধিত হবে সব জায়গায়। পরিকল্পনা আছে বুথ বাড়ানোর।