Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

গনোরিয়া রোগ কি, গনোরিয়া রোগ হওয়ার কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানেন কি?

বিভিন্ন যৌনরোগের মধ্যে একটি হলো গনোরিয়া। এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপে হওয়া যৌনরোগ। যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই সংক্রামিত করতে পারে। ...

বিভিন্ন যৌনরোগের মধ্যে একটি হলো গনোরিয়া। এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপে হওয়া যৌনরোগ। যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই সংক্রামিত করতে পারে।

এটি যৌনাঙ্গ, মুখ, চোখ, গলা, অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে ও মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ুর উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শরীরের উষ্ণ এবং আর্দ্র জায়গাকে প্রভাবিত করে। উপসর্গ বেদনাদায়ক অন্ত্র, যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালা যন্ত্রণা হওয়া, মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডে সমস্যা ইত্যাদি।

প্রসবের সময় এটি সংক্রামিত মায়েদের থেকে শিশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণটি তাদের চোখকে প্রভাবিত করে। এটি হলে সাধারণত কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। সুতরাং, আপনার গনোরিয়া রয়েছে তা আপনি বুঝতে পারবেন না। এই রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদেরকেই বেশি প্রভাবিত করে।

গনোরিয়া হওয়ার কারণ:

নিসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে গনোরিয়া রোগ হয়। যৌনমিলনের মাধ্যমে এটি সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে অপরজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে।

গনোরিয়ায় আক্রান্ত পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। তবে, গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে যৌনমিলনে একজন পুরুষের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। তবে, সমকামী পুরুষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি।

গনোরিয়া হওয়ার লক্ষণ ও উপসর্গ:

গনোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মিলনের ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা যায়। কিছুজনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই এই রোগের লক্ষণগুলো পৃথক হয়। নীচে সে বিষয়ে আলোচনা কর হল-

পুরুষদের মধ্যে গনোরিয়ার লক্ষণগুলো সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়-

১) গলা ব্যথা
২) যৌনাঙ্গে ফোলা ফোলাভাব বা লালভাব
৩) যৌনাঙ্গ দিয়ে পুঁজ বের হওয়া
৪) গনোরিয়া মলদ্বারকেও আক্রমণ করতে পারে। যার ফলে, সেখানে চুলকানি ও রক্তপাত হতে পারে।

নারীদের মধ্যে গনোরিয়ার লক্ষণগুলো হল-

১) জ্বর
২) যোনি থেকে ডিসচার্জ
৩) ঘন ঘন প্রস্রাব
৪) প্রস্রাব ব্যথা বা জ্বালা করা
৫) গলায় ব্যথা
৬) পিরিয়ডে সমস্যা
৭) তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা

রোগ নির্ণয়: গনোরিয়ার ব্যাকটেরিয়া রোগীর শরীরে উপস্থিত কি না তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস সম্পর্কে জানবেন। তারপর, পুরুষের মুত্রনালীর এবং মহিলাদের যোনিপথ থেকে নিঃসরণের নমুনা একটি সোয়াব স্টিক ব্যবহার করে সংগ্রহ করা হবে, যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মূত্রের নমুনা দিয়েও পরীক্ষা করা যায়।

চিকিৎসা: অ্যান্টিবায়োটিক গনোরিয়া সংক্রমণের সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। যেমন সেফট্রায়াক্সন, এজিথ্রোমাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন ইত্যাদি। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা যায়। কিন্তু, যদি গর্ভবতী অবস্থায় এই ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ হয় তাহলে তড়িঘড়ি তা সারানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

প্রতিরোধ: সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেন্শন (CDC)-র মতে, গনোরিয়ার ঝুঁকি কমানোর একমাত্র উপায় হল যোনি, পায়ূ বা ওরাল সেক্স এড়িয়ে চলা। এই রোগ প্রতিরোধ করতে যেগুলো মেনে চলা উচিত-

১) যৌনমিলনের সময় অবশ্যই কন্ডোম ব্যবহার করুন
২) সঙ্গীকে যৌন সংক্রমণের পরীক্ষা করতে বলুন
৩) একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন এড়িয়ে চলুন