ইমো এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখে এবং শীর্ষমানের প্রাইভেসি ফিচার প্রদান করে। এমনটিই...
ইমো এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখে এবং শীর্ষমানের প্রাইভেসি ফিচার প্রদান করে। এমনটিই জানিয়েছে ইমো কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ডেটা ফাঁস ও ভার্চুয়াল ট্রেসপাসিং রোধ করতে ইমোর ‘ফ্ল্যাশ কল’ ফিচার ব্যবহারকারীদের ফোন-কল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে লগ-ইন করতে সক্ষম করে।
তারা বলছে, ইমো ‘অ্যান্টি-ফ্রড’ ফিচারও চালু করেছে, যা ব্যবহারকারীদের কোনো ভেরিফিকেশন কোড পাওয়ার পর প্রতিবার ‘সিকিউরিটি রিমাইন্ডার’ প্রদান করে। তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সাথে কোড শেয়ার থেকে ব্যবহারকারীদের বিরত রাখা এই ফিচারের উদ্দেশ্য। এছাড়া ইমোর ‘মাল্টিপল অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট’ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত উপায়ে একটি ডিভাইসে একাধিক অ্যাকাউন্ট নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারেন।
তারা আরো বলছে, অপরাধের প্রাসঙ্গিক সূত্র এবং প্রতারকদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত ইমো। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করেছে। অনলাইন স্পেসে চুরির ঝুঁকি মাস হিসেবে ৮৩ শতাংশ কমেছে। এই বছরের শুরুতে যেখানে ইমো প্রতিদিন গড়ে ৭টি অ্যাকাউন্ট চুরির ফিডব্যাক পেতো, সেখানে এখন প্রতিদিন গড়ে ১টি অ্যাকাউন্ট চুরির ফিডব্যাক পায়।
ইমোর প্রোডাক্ট ডিরেক্টর গেরেট বলেন, বর্তমান সময়ে সুস্থ ও টেকসই ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। মাঝে মাঝে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দায়িত্বশীল আচরণ এবং কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলার মাধ্যমে সকলেরই নিজেদের সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া উচিত। একটি সুরক্ষিত ডিজিটাল স্পেস তৈরির জন্য ইমো এবং ব্যবহারকারীরা একসাথে কাজ করবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইরেশ যাকের বলেন, ‘কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা হলে ইন্টারনেট আমাদের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সাইবার নিরাপত্তার সাথে যুক্ত ঝুঁকি দূর করা এবং প্রত্যেকের জন্য ইন্টারনেটের সুবিধাগুলোর সর্বাধিকরণ এই ডিজিটাল বিশ্বে আমাদের জন্য দ্বৈত চ্যালেঞ্জ স্বরূপ।'